
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষে প্রায় দুই বছর ধরে ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে বসবাস করছেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আতাউল হক খান চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নির্ধারিত কক্ষটি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে ঘরের মতো করে, যেখানে রয়েছে ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩১০১ নম্বর কক্ষে বিছানা, এসি, ফ্রিজ, টিভি, আলনা, চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার ও জুতা রাখার তাকসহ ব্যক্তিগত ব্যবহারের সব সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আতাউল হক খান চৌধুরী ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়।
শ্রেণিকক্ষে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আমি ঠিক করি নাই। আমি আর সেখানে থাকব না।”
তবে তিনি দায় চাপান কলেজের অধ্যক্ষের ওপর। কিন্তু অধ্যক্ষ বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করে জানান, “এটি অনৈতিক। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এবং শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৭০ জন। প্রতিষ্ঠানের এমন অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তির এই আচরণে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।