
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ঘোষিত কর্মী সমাবেশ শনিবার বিকেলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পণ্ড হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে মুহূর্তেই এলাকা জুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে এবং নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
চোখে-মুখে ধোঁয়া ও পানির প্রভাবে অনেকেই পাশের গলিতে আশ্রয় নেন, কেউবা পুলিশের সামনে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কাকরাইল মোড় থেকে শান্তিনগর ও বিজয়নগর পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কি না—এই ইস্যুতে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলছিল। দলীয় প্রতীক ‘লাঙল’ নিয়ে অভিযোগ ছিল, ক্ষমতাসীন একটি মহল এতে প্রভাব বিস্তার করছে। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান জি এম কাদের শনিবার বিকেলে জরুরি কর্মী সমাবেশ ডাকেন, যেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রতীক রক্ষা ও অভ্যন্তরীণ বিভাজন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
বিকেল তিনটার পর থেকেই শান্তিনগর, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল এলাকা থেকে বিভিন্ন মিছিল এসে জড়ো হয়। ট্রাকের ওপর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে প্রথমে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ কয়েকজন নেতা। পরে চেয়ারম্যান জি এম কাদের মঞ্চে উঠলে কর্মীরা “লাঙল থাকবে, জাপা বাঁচবে”, “কাদের ভাই এগিয়ে চলো” স্লোগানে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু ঠিক বক্তৃতা শুরুর আগেই মিছিলের একাংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অনুমতি ছাড়া সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার কারণে টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “কিছু কর্মী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশকে লক্ষ্যবস্তু বানায়, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।” পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় কাকরাইল, শান্তিনগর ও বিজয়নগর এলাকায়।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সেন্টু অভিযোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু পক্ষ চা