
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসাকে অবমাননা এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শতাধিক ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের একটি র্যালি হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদ্রাসার দিকে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় শতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
তিনি আরও বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। সেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং স্পষ্ট উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো মুসলমানদের ঈমান ও আকিদার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাই ধর্মীয় স্থানগুলোর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন প্রত্যেকের দায়িত্ব।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, “এ ধরনের হামলা দেশের সমাজে বিভেদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার অশুভ প্রচেষ্টা। অথচ ইসলাম শান্তি, সহনশীলতা ও সংযমের শিক্ষা দেয়। উত্তেজনা নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্যও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।