
সত্য প্রকাশ ন্যায়ের সাথে
দখলদার ও গণহত্যাকারী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কথিত হত্যাচেষ্টার অভিযোগের জবাবে ইসরাইলে আরও বড় আকারের হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুলকরিম আল-গামারি। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শেষ পর্যন্ত গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে তেলআবিবকে বাধ্য করা হবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ইয়েমেনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সাবা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন আল-গামারি। তিনি বলেন, “গাজায় কিংবা ইয়েমেনের প্রতি জায়নিস্ট আগ্রাসন শক্তির প্রতীক নয়; বরং প্রায় দুই বছর ধরে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার প্রতিফলন। এর জবাবে আমাদের প্রতিরোধ আরও তীব্র হবে।”
এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ইসরাইলি গণমাধ্যম দাবি করেছে যে, সম্প্রতি তেলআবিবের বিমান হামলায় ইয়েমেনের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আল-আতিফি ও সেনাপ্রধান গামারিও ছিলেন। হামলাটি চালানো হয়েছিল ইয়েমেনের রাজধানী সানায়।
এর আগে গত জুন মাসেও একই ধরনের ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন আল-গামারি। এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “জায়নিস্ট শত্রু ইচ্ছাকৃতভাবে সানার বেসামরিক এলাকাগুলোকে নিশানা করেছে। এর দায় তারা কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।” তিনি আরও জানান, এটি ইয়েমেনের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধ্বংস করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
ইসরাইল গত বছর থেকে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। কারণ হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি সামরিক বাহিনী গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইসরাইলে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করেছিল। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যামূলক আগ্রাসন শুরুর এক বছর পর থেকেই এ হামলা-পাল্টা হামলার চক্র চলছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর ইসরাইল উপকূলীয় অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ কার্যত বন্ধ করে দিলে ইয়েমেনি বাহিনী নিজেদের হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনীর হামলায় আরও ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২৪৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় মোট প্রাণহানি ৬৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইয়েমেনি সেনাপ্রধান পুনরায় প্রতিজ্ঞা করে বলেন, “গাজাকে সমর্থন দেওয়া থেকে ইয়েমেন কোনোভাবেই পিছিয়ে যাবে না— তা লক্ষ্যবস্তু হওয়া বা ত্যাগ স্বীকার যাই হোক না কেন।”