জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ (কর্মপরিকল্পনা) চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার রোড ম্যাপ সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোড ম্যাপে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক প্রতিটি কাজ কখন শেষ করতে হবে তা নির্দিষ্ট সময়সীমায় উল্লেখ থাকবে। সেই অনুযায়ী ইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ সম্পন্ন করবে।

বুধবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করছি। বৃহস্পতিবার হয়তো আপনাদের আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার সুযোগ পাবো।”
তিনি আরও জানান, কর্মপরিকল্পনার (রোড ম্যাপ) বিস্তারিত গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

এর আগে বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জানানো হয়, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে এবং অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রোড ম্যাপের মূল বিষয়

ইসি সূত্রে জানা যায়, রোড ম্যাপে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া—

• আইন সংস্কার,

• সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ,

• নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন,

• নির্বাচনি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন,

• ভোটার তালিকা হালনাগাদ,

• নির্বাচনি সামগ্রী ক্রয়,

• প্রবাসীদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত কার্যক্রম,

• ভোটের ব্যালট ও ফরমসহ বিভিন্ন খাম মুদ্রণ,

• ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা,

• ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ

—এসব কাজ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে রোড ম্যাপে।

তবে এতে নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা ও ভোটের দিন-তারিখ উল্লেখ থাকবে না।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করা হবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তাদের মতে, রোড ম্যাপে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলে ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে।