
সত্য প্রকাশ ন্যায়ের সাথে
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত সহিংসতার মামলায় তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ৫৯ নেতাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) ফয়সালাবাদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় আরও ৩৪ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ৯ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা সামরিক স্থাপনা, রাষ্ট্রীয় ভবন এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বাড়িতে হামলা চালায়। সেই হামলার মামলার ভিত্তিতেই এ রায় দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব, শিবলি ফারাজ এবং সাবেক মন্ত্রী জারতাজ গুল। এছাড়া শেখ রশিদ জাভেদসহ কয়েকজন কর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মোট ১০৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল সামনাবাদ থানায়। এর মধ্যে আদালত ৭৫ জনকে সাজা দেন এবং ৩৪ জনকে খালাস দেন। সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় পিটিআইয়ের উচ্চপর্যায়ের অনেক নেতা থাকলেও, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং এমএনএ জয়েন কুরেশি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জারতাজ গুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
এ মাসের শুরুতে লাহোরের একটি আদালতও একই ধরনের মামলায় পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ, সিনেটর ইজাজ চৌধুরী, মিয়ান মাহমুদ উর রশিদ এবং পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। গত সপ্তাহে ইমরান খানের ভাগনে শেরশাহ ও শাহরেজকেও ৯ মের দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।