আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে জনগণের প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। এ সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আদালতের তুলনায় তারা এক-দশমাংশ সময়ের মধ্যেই এই সেবা পাচ্ছেন, যা বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর: রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন্স’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, “বিচারপ্রত্যাশী মানুষের সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক টাকা অনুদান না পেলেও আমরা কাজ চালিয়ে যাব। যতদিন দায়িত্বে আছি কাজ করে যাব এবং এমন ব্যবস্থা রেখে যাব যাতে আমরা না থাকলেও মানুষ এ সেবার সুফল পান।”

বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই কার্যক্রমে আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা না থাকলেও আপনারা ভবিষ্যতে এ মহৎ উদ্যোগ চালিয়ে যাবেন।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. আসিফ নজরুল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব শেখ আবু তাহের, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মাইকেল মিলার এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।