ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির কাছে এমন শক্তিশালী সামরিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে যা এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি। তিনি শত্রুদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভুল হিসাব কষবেন না কিংবা এমন কোনো নির্বুদ্ধিতার কাজ করবেন না যার জবাব দিতে হবে ইরানকে।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) মেহর নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদে বলেন, গত জুনে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত যুদ্ধে ইরানের উন্নত সামরিক সরঞ্জাম, বিশেষত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।

তিনি জানান, গত এক বছরে ইরান এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যা চালনাযোগ্য ওয়ারহেডে সজ্জিত। এসব ওয়ারহেড আকাশে প্রবেশের পর দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথ অনুসরণ করতে হয় না। এর ফলে মার্কিন তৈরি টিএইচএএড ও প্যাট্রিয়টের মতো বহুতল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

নাসিরজাদে বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা না হলেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করে তোলে। তার ভাষায়, “যদি যুদ্ধ ১২ দিনের বদলে ১৫ দিন চলত, শেষ তিন দিনে প্রায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করা যেত না।”

তিনি আরও যোগ করেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা শত্রুপক্ষের জন্য ভয়াবহ হতো এবং তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দ্রুত ভেঙে পড়ত। তাই শেষ পর্যন্ত তারাই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় আঘাত হেনে সংঘাত শুরু করে। পরে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র নাতাঞ্জ, ফর্ডো ও ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।