
“বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সুবিচার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু করেছিলেন সেই অঙ্গীকার থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব”: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
“বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সুবিচার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু করেছিলেন সেই অঙ্গীকার থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব।” মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধনকালে একথাগুলো বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এসময় তিনি আরও বলেন, “আদালতের বিচারপ্রার্থীদের পানি পান, টয়লেটে যাওয়াসহ মায়েদের তাদের সন্তানদের দুধ খাওয়ানোর কোনো স্থান নেই। বিষয়টি সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে দেশের আদালত চত্বরে এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের নির্দেশ দেন। সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ মে) বিকালে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জ ভবনের উদ্বোধন করেন। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপন করেন।
উদ্বোধনের সময় মৌলভীবাজারে জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো: সোলায়মান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম মো: ফারুক উদ্দিন, মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় মোহাম্মদ খুরশেদুল আলম শিকদার, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সৈয়দ মো: কায়সার মোশাররফ ইউসুফ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, জেলা পুলিশ সুপার, মোঃ মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার), পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জয়নুল হক, বিজ্ঞ এপিপিগন সহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্তরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, আদালতের প্রশাসনিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, বিভিন্ন আদালতের বেঞ্চ সহকারীগনসহ সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।