
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় ১৫ বছরের এক কিশোরীর লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নে রশিকনগর খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত কিশোরীর বাবা আব্দুস সোবহান একজন মাহিন্দ্রা চালক। সে রশিকনগর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আটককৃতরা হচ্ছে একই গ্রামের কালামের ছেলে ইয়াসিন (১৯), জালাল মিয়ার ছেলে সোহাগ (২০), ইয়া রউফের ছেলে শুক্কর (২৫)।
নিহত কিশোরী সালমা আক্তারের (১৫) মরদেহ বর্তমানে দীঘিনালা থানায় রাখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কিশোরীর বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘আমার মেয়ে গ্রামের ৫০০ মিটার দূরে অনুষ্ঠিত মাহফিল শুনতে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে মাহফিলের মাইকে ঘোষণা শুনে গ্রামের খেলার মাঠে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পারিবারিক শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। আটককৃত পরিবারের সাথে আমার দীর্ঘদিনের মামলাও চলছে। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মাটিতে পড়ে থাকা মেয়ের গলায় কালো দাগ ছিল।’
থানার সামনে কান্নারত অবস্থায় কিশোরীর বাবা বলেন, ‘দেড় বছর আগে ঐ পরিবারের ভয়ে পড়াশোনা বাদ দিতে হয়েছিল আমার দুই (০২) মেয়ের, তবুও আমার মেয়ের শেষ রক্ষা হলো না। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই। আর কোন বাবার বুক যেন খালি না হয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে মামলার রুজু চলমান রয়েছে। ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে তিনজন যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা ঘটনার মূল রহস্য বের করার চেষ্ঠা করছি।’
তিনি আরও বলেন , ‘প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছি যে, কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে তিনি জানান।